বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হল খোলা থাকলেও বন্ধ ক্যান্টিন, ভোগান্তিতে ববি শিক্ষার্থীরা

  • প্রতিনিধি, বরিশাল   
  • ২ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৪৪

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র রাসেল বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা থাকায় হলে অবস্থান করতে হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে হল চালু থাকলেও হল ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় সেহরি ও রাতের খাবার খেতে আমাদের বাহিরের দোকানগুলোতে যেতে হয়, এতে আমাদের অতিরিক্ত টাকা যেমন খরচ হচ্ছে সাথে সাথে দুর্ভোগও বেড়েছে।’

ঈদের ছুটিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলগুলো বন্ধ হওয়ার আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হল ক্যান্টিন। এতে রমজানে খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হল ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাইরের দোকানগুলোতে চড়া মূল্যে খাবার খেতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

নোটিশ অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৫ এপ্রিল বন্ধ হচ্ছে আবাসিক হলগুলো। কিন্তু এর আগেই ৩১ মার্চ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ছাত্র হল বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হল ক্যান্টিন পরিচালক ১৫ দিন আগেই প্রভোস্টকে ক্যান্টিন ছাড়বেন বলে জানান। সেই অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি তারা হল ক্যান্টিন ত্যাগ করেন। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ ক্যান্টিন চালু রাখতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এতে হল ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে বর্তমান।

অপরদিকে শেরে বাংলা হল ক্যান্টিনের খাবারের মান নিম্নমানের হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের খাবার খান না। তাই শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ক্যান্টিন পরিচালক।

শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, ‘শেরে বাংলা হল ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়নি, শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে খেতে আসেন না। আমাদের ক্যান্টিন পরিচালকেরা সেহেরির খাবারের টোকেন বিক্রির জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত ক্যান্টিনে থাকলেও কোনো টোকেন বিক্রি হয়নি।’ ক্যান্টিন ৩১ তারিখ থেকে আপাতত বন্ধ, কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে খেতে চাইলে চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো দোকান না থাকায় ছাত্র হল ক্যান্টিন দুটির এই অবস্থায় রমজানে সেহরি ও রাতের খাবারের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে বাইরের দোকানগুলোতে।

শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, ‘শেরে বাংলা হল ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে রমজান রোজা রাখা কষ্টকর। শিক্ষার্থীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই হল ক্যান্টিনের খাবার বর্জন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধু হলের ১০ জনের অধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস ছুটি হলেও অনেকের পরীক্ষা থাকায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তারা হলে অবস্থান করবেন, কিন্তু পরীক্ষার এই সময়ে হলের ক্যান্টিনগুলো বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবারের মান ভালো না হওয়ায় তারা হল ক্যান্টিনে খাবার খান না।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এখন কম শিক্ষার্থী থাকায় ক্যান্টিন পরিচালকেরা ক্যান্টিন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ অল্প শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন চালু রাখলে তাদের লাভ কম হয় এ জন্য। তারা বাইরের ব্যবসায়ীদের মত আচরণ করছে।’

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র রাসেল বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা থাকায় হলে অবস্থান করতে হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে হল চালু থাকলেও হল ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় সেহরি ও রাতের খাবার খেতে আমাদের বাহিরের দোকানগুলোতে যেতে হয়, এতে আমাদের অতিরিক্ত টাকা যেমন খরচ হচ্ছে সাথে সাথে দুর্ভোগও বেড়েছে।’

বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন পরিচালক সাকিব বলেন, ‘আমরা প্রভোস্টকে ১৫ দিন আগে বলেই ক্যান্টিন ছেড়ে দিয়েছি। আমরা এখন ক্যান্টিন পরিচালনায় নেই।’

একই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়েছে। অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলতে গেলে লোকসান হয় ক্যান্টিন পরিচালকদের। আমাদেরতো ওদের কথাও ভাবতে হবে।’

তবে ক্যান্টিন পরিচালকদের হল ক্যান্টিন ছাড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর