বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের প্রবেশ করানোর দায়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের সিট বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ইমতিয়াজ রাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হলো। সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম/সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তবে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে শুক্রবার দুপুর থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমতিয়াজ রাহিমকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ আরও পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
প্রায় ছয় ঘণ্টা আন্দোলন শেষে রাত ৮টায় তাদের দাবিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে এদিনের মতো আন্দোলন শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের নতুন দুই দাবি হলো- দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের অতি দ্রুত পদত্যাগ এবং তাদের সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৮টায় বুয়েটের সব প্রবেশদ্বারে আমরা শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’