বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রমজানে কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ নিয়ে যা বলল ঢাবি কর্তৃপক্ষ

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ২১ মার্চ, ২০২৪ ১৭:২৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন, ইনস্টিউটের পরিচালক এবং হলের প্রাধ্যক্ষকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন, ইনস্টিউটের পরিচালক এবং হলের প্রাধ্যক্ষকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

চিঠিটি দেয়া ১৫ মার্চ, শুক্রবার। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে বুধবার থেকে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি আইন বিভাগের কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ব অনুমতি না নিয়ে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে একটি সেমিনার আয়োজনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ভবনে জমায়েত করে।

“সেখানে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে এবং আইন অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছে।”

চিঠিতে বলা হয়, ‘পরবর্তীতে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে।’

চিঠিতে সবশেষে বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

চিঠির শেষাংশে উল্লেখ করা ‘এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে সেটি স্পষ্ট না হওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

অনেকে বলছেন, এটির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘রমজান’ শীর্ষক কোনো প্রোগ্রাম আয়োজনের অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।

আবার অনেকে বলছেন, অনুমতি না দেয়া মানেই তো অনুষ্ঠান আয়োজনে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া। তাই এটা বলা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রমজানকেন্দ্রিক কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর এই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলে বৃহস্পতিবার সেসব প্রতিবেদনকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের আলোচনা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রক্টর অফিস থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে ‘নিষেধাজ্ঞা’ শব্দটি এই বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও উল্লেখ নেই।

প্রকৃতপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও রমজানে শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বলাবাহুল্য, প্রতিদিনই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আসছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কতিপয় রাজনৈতিক সংগঠনের অনুসারীরা পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি লঙ্ঘিত ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিধিবদ্ধ রীতিনীতি ও নির্ধারিত স্থান রয়েছে, যা আমাদের সবারই মেনে চলা উচিত।

বিজ্ঞপ্তি এবং ওই চিঠিতে কোন ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনে অনুমতি না দেয়ার কথা বলা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আর অনুমতি না দিতে বলার বিষয়টি এক নয়। নিষেধাজ্ঞা মানে হচ্ছে সবকিছু নিষেধ। আর আমাদের চিঠিতে একটি পার্টিকুলার বিষয়েকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে শুধু এ ধরনের অনুষ্ঠান...।

‘এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড’ বলতে কোন ধরনের প্রোগ্রাম বুঝানো হয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড বলতে প্রোডাক্টিভ রমাদান নামটি ব্যানারে আনা এবং যে জায়গায় প্রোগ্রাম করা হবে সে জায়গার অনুমতি না নেয়াকে বুঝানো হয়েছে। যাতে আমরা জানতে পারি কে কোন জায়গায় কী প্রোগ্রাম করছে। এছাড়া আর কোনো প্রোগ্রামকে বুঝানো হয়নি। আর বর্তমানেও তো ক্যাম্পাসে প্রতিদিন রমজানের কোনো না কোনো প্রোগ্রাম হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর