বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবন্তিকার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে: জবি উপাচার্য

  • প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১৯:২৪

উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়েছে। তৎক্ষণাৎ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা তাদের কাজও শুরু করে দিয়েছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনাটি বড় পরিসরে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম। তড়িঘড়ি না করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি। পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি তাকেই দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন উপাচার্য।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়েছে। তৎক্ষণাৎ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা তাদের কাজও শুরু করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তে বড় পরিধিতে সবকিছু সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করেই দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক প্রশাসন কাজ করছে। এই ধরনের নজির বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। এসব বিষয়ে তড়িঘড়ি করে তদন্ত করলে কিন্তু দুর্বলতা থেকে যায়। তবে আমরা খুব দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাব বলে আশা করছি।’

সাদেকা হালিম বলেন, ‘পূর্ববর্তী যত ঘটনা আছে সেগুলোর সবগুলো পরবর্তী সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। এটা আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে অবন্তিকার ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠী ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।

পোস্ট করা সুইসাইড নোটে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হয়রানি, হুমকিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তুলেছেন। তা ছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রী।

এ ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আগুন জ্বালিয়ে ভোর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। পরে রাত দেড়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ক্যাম্পাসে এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। উপাচার্যের আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাননি।

শনিবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। ওই দিন রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে। শনিবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে আটক দেখায়।

এ বিভাগের আরো খবর