ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন বটতলায় রমজান মাসকে স্বাগত জানিয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এই প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি, যেটি কলা অনুষদ ও প্রক্টর অফিসের নিয়মের ব্যত্যয়।
অনুমতি না নিয়ে প্রোগ্রাম করায় তাদের (শিক্ষার্থী) বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের পক্ষ থেকে ১৩ মার্চ আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির।
আরবি সাহিত্য পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে ১০ মার্চ এই কুরআন তেলাওয়াত কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং কুরআন তেলাওয়াত শোনেন। এ সময় অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের মাঝে আরবি সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে টুপি বিতরণ করা হয়।
আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুবায়ের মোহাম্মদ ইহসানুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘এটি অফিসিয়াল বিষয়। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে শুধু জানতে চাওয়া হয়েছে যে আরবি সাহিত্য সংসদ সংগঠনটি কাদের এবং তারা কারা। শুধু এটুকুই জানতে চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বটতলা কলা অনুষদের অধীনে। এখানে কেউ প্রোগ্রাম করতে চাইলে আমাদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয়। কুরআন তেলাওয়াতের জন্য নয়, অনুমতি ছাড়া প্রোগ্রাম করেছে সেজন্য এই চিঠি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও এটা অবহিত আছেন।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমার অফিস থেকে এরকম কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। তবে যেহেতু বটতলা কলা অনুষদের আওতাধীন তাই এখানে প্রোগ্রাম করতে হলে অনুষদ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কেউ এটি না নিলে অনুষদ চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
এ বিষয়ে আরবি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ছেলেরা রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কুরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করেছে এটা শুনেছি। এটা তো কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামও না। মুসলমানের দেশে কুরআন তেলাওয়াত করলে কারও গাত্রদাহ হবে এটা তো উচিত না।’