কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই অ্যাকাউন্ট থেকে রমজানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার নিষিদ্ধসহ নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে এসব তথ্য জানান উপাচার্য।
বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে অবহিত করেন, কিন্তু এ ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুরে আবারও আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয় বলে জানান উপাচার্য আবদুল মঈন।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্যের নামের ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করা হলো’- এমন একটি পোস্ট দেয়ার পর বিষয়টি সবার নজরে আসে।
উপাচার্যের নামে ওই ভুয়া আইডিতে মঙ্গলবার পোস্ট করা হয়, ‘ডেঙ্গু জ্বরে অবস্থা শোচনীয়, আর মনে হয় বেশিদিন বাঁচব না। সবাই মাফ করে দিয়েন।’
আরেক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত বিএনপি-জামায়াতের এ গণইফতার প্রোগ্রাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছিল। আমি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। মঙ্গলবার থানায় জিডি করি। এর মাঝেই আবারও ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা কোনো মানবিক বা সভ্য আচরণ হতে পারে না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের বলব কোনো সমস্যা থাকলে আমার সঙ্গে সরাসরি আলাপ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করা অন্যায়।’