জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হল ও শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী রাস্তা খুলে দেয়ার দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের একজন শাহরিয়ার মুন্না বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হল থেকে ক্লাস, খাবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে জেনারেটর বাজার সংলগ্ন একটি রাস্তা ব্যবহার করছি। এই দীর্ঘ রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াতে আমাদের অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে, যা আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করছে। তাই আসন্ন রমজানে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শহীদ রফিক-জব্বার হল এবং শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী রাস্তা খুলে দেয়ার দাবি জানাই।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি শহীদ রফিক-জব্বার হলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও খেলার মাঠ নির্দিষ্টকরণ, হলের সামনে দিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করাসহ চার দফা দাবিতে শহীদ রফিক-জব্বার হল ছাত্রলীগের নেতারা হল সংলগ্ন রাস্তায় স্থায়ী দেয়াল নির্মাণ করেন। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা।
চলতি বছরের ৫ মার্চ রাতে দুই হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় নির্মিত দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে শহীদ রফিক-জব্বার হল ও শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ পরদিন শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে সেখানে পানি ভর্তি রেখেছেন। এতে দুই হলের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়৷ এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে অবরোধ চলাকালে বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের বাধা সত্ত্বেও প্রশাসনিক ভবনের তালা কেটে বের হয়ে যান উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা৷ সে সময় বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম কিছু বলতে রাজি হননি৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবিগুলো শুনেছি। আগামী ১০ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা রয়েছে৷ সেখানে তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’