খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে চারুকলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার এক নোটিশের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. তৌহিদুজ্জামান।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘গর্ভানিং বডির সভাপতি খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরেই তিনি স্কুলে আসছেন না। ফোনে আমার কাছে পাঁচ দিনের ছুটি চেয়েছেন তিনি।’
তিনি জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষার্থীকে বাথরুমে নিয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক। বিষয়টি অন্য ছাত্রীরা দেখে শিক্ষকদের জানান। পরবর্তীতে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ ঘটনার পর সোমবার (৪ মার্চ) অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করা হয়।
ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন এক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘মেয়রের নজরে আনলে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তারা ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা-ই পিছু হটছেন বলে জানান শিক্ষকরা।
তারা আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে বড় ধরনের শাস্তি না দিতে ভুক্তভোগীর পরিবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া ওই ছাত্রীকে অন্য বিদ্যালয়ের স্থানন্তরের কথাও জানিয়েছেন তারা।