জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হল ও শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রায় ৩০টি রুমের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অন্যদিকে শেখ রাসেল হলের ডাইনিং ও মসজিদসহ কয়েকটি রুমের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, শহীদ রফিক-জব্বার হল ও শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী এ দেয়ালের কারণে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়।
এরপর দেয়ালটি অপসারণের দাবিতে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করেন। পরে স্মারকলিপি হল প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর জমা দেয়ার প্রস্তুতি নেন, তবে মঙ্গলবার রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা সেই দেয়ালে ৭ই মার্চ উপলক্ষে দেয়ালচিত্র আঁকতে গেলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টোরিয়াল টিম উপস্থিত হলেও প্রক্টরের উপস্থিতিতেই সংঘর্ষ চলতে থাকে।
পরে রাত ১২ টায় সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আশুলিয়া থানা পুলিশের ৮০ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে ভিসির বাসভবন বা ডেইরি গেইটে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, ‘আমি একটা ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। ঘটনা শুনে দ্রুতই হলে এসেছি। আমার শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’
শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, ‘আমি হলে অবস্থান করছি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।