বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুল দেয়া নিয়ে পাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:০০

হাতাহাতি চলাকালে দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে কর্মকর্তাদের এক পক্ষ।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।

হাতাহাতি চলাকালে দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে কর্মকর্তাদের এক পক্ষ।

বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপত্তা চেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এক পক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিউজবাংলাকে জানায়, ‘পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন নিয়ে তাদের মধ্যে গ্রুপিং হয়। সম্প্রতি একটি গ্রুপ ‘পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে আরেকটি সংগঠন তৈরি করে। এ নিয়েই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়। প্রথমে পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরবর্তীতে পুষ্পার্ঘ নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যায় নতুন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আরও জানায়, ওই গ্রুপের সঙ্গে থাকা পুষ্পার্ঘ ও প্যানা ছিনিয়ে নেন পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যেই উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।

ধস্তাধস্তি চলাকালে নতুন সংগঠনের দুই নারী সদস্যকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হয়।

পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জিএম শামসাদ ফখরুল ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যাওয়ার পরপরই কর্মকর্তা পরিষদের নেতারা আমাদের বাধা দেন এবং ফুলের তোড়ায় থাকা আমাদের সংগঠনের নাম-সম্বলিত প্যানা ছিনিয়ে নেন। এরপর আমাদের দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি।’

পাবিপ্রবি কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের একটিই সংগঠন রয়েছে। সেটা হচ্ছে পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া আর কোনো সংগঠন নেই। একটি পক্ষ প্রায় একই নামে আরেক সংগঠন তৈরি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা যেহেতু আমাদের সংগঠনেরই ভোটার, তাই আমরা তাদের বলেছি- একই নাম ব্যবহার না করে অন্য কোনো নামে সংগঠন তৈরি করতে। এসব নিয়েই শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে, আর কিছু নয়।’

হাতাহাতি, প্যানা ছিনিয়ে নেয়া ও কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

পাবিপ্রবি প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। একই নামে দুটি সংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যে একটু বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে দুই পক্ষই শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।’

এ বিষয়ে পাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘শহীদ মিনারে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে আমরা তদন্ত কমিটি করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর