বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ থামছেই না, এবার পুলিশসহ আহত ১৩

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২১:৫৩

সংঘর্ষকালে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহ জালাল হলে এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেন। এ সময় দুই গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া, মুহুর্মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

সংঘর্ষ থামছেই না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার রাতে শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসিরর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বিকেলে ফের সংঘর্ষে জড়ায় এই দুই গ্রুপ।

সিএফসি পক্ষের কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সংঘর্ষকালে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহ জালাল হলে এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেন। এ সময় দুই গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া, মুহুর্মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। সন্ধ্যায় শহীদ আবদুর রব হলে থাকা সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা এসে আমানত হলের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিলে সংঘর্ষ আরও রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠে।

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে নবলে চবি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘১৩ জনের মতো চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। ওই পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ ঘটনায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ ও সিএফসি গ্রুপের নেতা মির্জা খবির সাদাফকে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে সিক্সটি নাইন ও সিএফসি দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষ হয়। পরে তা শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ওইদিন দুপুরে বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷ পরবর্তীতে দুপুর একটার দিকে তা শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে বুধবার রাতে এক কর্মীর পক্ষ ত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজয় ও সিক্সটিনাইন গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।

এ বিভাগের আরো খবর