নোট ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভাঙতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা গতানুগতিক পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে ভিন্ন। এটা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন।
বগুড়া থেকে নির্বাচিত জাসদের সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘তবে নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের নোট ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে নতুন মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা মেধাবী জাতি তৈরি করবে। শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে।
‘নতুন পাঠক্রমের ওপর ভিত্তি করে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি এবং মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে সহায়তা করবে।’
ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই এমন নয়। আগের মতো মুখস্থনির্ভর পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
‘নোট ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভাঙতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা গতানুগতিক পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে ভিন্ন।’
তিন আরও বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এখানে লিখিত মূল্যায়ন, সমস্যা সমাধান, ব্যক্তিগত কাজ ও দলগত কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
‘উপস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকছে।’