২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় নীলফামারীর সৈয়দপুরের একটি কলেজ থেকে ৫১ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে ৫১ জনের মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার খবরটি সোমবার নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ২২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ২২৩ জন। জিপিএ-৫ পান ১৫৭ জন। তার মধ্যে এবার ৫১ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এর আগে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ সালে ৩৫ জন, ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল।
বিজ্ঞান কলেজ থেকে এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এবার ৫১ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মিম ও মৌ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে অবন্তি ও স্বচ্ছ। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে এলিন, তনু ও নাঈম। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে রোজা, তিথি, মাহবুবা ও রাইসা।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজে উর্মি, বর্ষা, মামুন, মাহফুজা আকতার মিতু, মুরাদ, সানজিদা রিফা, নুসরাত জাহান অপি, সিন্থি, মিথিলা ফারজানা ও সাবিরা সুলতানা নুর। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে মিতু ও তিশা। শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে সুমাইয়া, রিফাত ও অর্থী। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে শৈয়লী ও আবির। দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে ইশতিয়াক আহমেদ, আশা, রেমি, পীযূষ ও শান্ত।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে নেহা ও সিজু, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজে অবন্তি ও মারুফা। পাবনা মেডিক্যাল কলেজে কাব্য ও আরিফ মোহায়মিন। নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজে আফিয়া আদিবা। কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে অনামিকা। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে মেরাজ। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে মন্নুজা, ইশরাত জাহান ও সাথি রানি।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে মোশাব্বির। নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিক্যাল কলেজে সৃষ্টি। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনছুর আলী মেডিক্যাল কলেজে নসিবুল হাসান নাঈম। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে রিফাত জাহান রিফা। নওঁগা মেডিক্যাল কলেজে রিদিতা প্রামানিক ও চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজে সেতু দেবনাথ ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। বরাবরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতি বছর মেডিক্যাল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।’