আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে জবিশিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এনটিএ গঠনের মাধ্যমে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস একই দিনে অর্থাৎ ১ জুলাই ২০২৪-এর মধ্যে শুরু করতে হবে।
‘এ ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও মাইগ্রেশনের জটিলতা নিরসনপূর্বক ছাত্র হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষদের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি নিরীক্ষা টিম গঠন করে ২০২০-২১, ২০২১-২২, এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আয় ও ব্যয়ের নিরীক্ষা কার্য সম্পন্ন করে অংশগ্রহণকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট প্রকাশ করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। দেশের সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা গুচ্ছ করতে হবে।’
ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা পূর্ণ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের আসনসংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি পূর্ণ করতে হবে। ভর্তির আবেদন ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। ভর্তি আবেদন ফি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন, মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আসনসংখ্যা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করতে হবে এবং পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ এবং এর স্বচ্ছতার জন্য একটি সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’