‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধির লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার এ বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত জরুরি ভিত্তিতে জানানোর নির্দেশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ।
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. জামিনুর রহমানের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি-৯ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে চবির বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে মর্মে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সংবিধি-৯ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম (বাংলা এবং আইন বিভাগসহ) যে সকল বিভাগে শুরু করা হয়েছে, সে সকল বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের চলমান কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করার অনুরোধ করা হলো।’
এর আগে আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে যায় চবি শিক্ষক সমিতি। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন। তবে ওই দিন দাবি না মানায় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির দাবি, তারা এখনও উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অটল। এ দাবি আদায়ে কর্মসূচি চলবে।
টানা তিন দিন অবস্থান কর্মসূচি শেষে চতুর্থ দিন প্রতীকী গণঅনশন করেন তারা। ৪ জানুয়ারি শীতের ছুটি শেষ হবার পর পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির নেতারা। তবে এ আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে শিক্ষকদের আরেকাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বলেন, ‘আমরা ইউজিসির চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি অফিশিয়ালি দেখা হচ্ছে।’