বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবি শিক্ষক সমিতির অনশন, উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলন

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:৫১

বড়দিন ও শীতকালীন ছুটির জন্য ক্যাম্পাস ছুটি হওয়াতে ছুটি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানিয়েছেন, দায়িত্ব ধরে রাখতে তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড়।

উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

টানা কর্মসূচির চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষক সমিতির নেতা ও সদস্যরা মিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। বড়দিন ও শীতকালীন ছুটির জন্য ক্যাম্পাস ছুটি হওয়াতে বন্ধ শেষে তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত রোববার উপাচার্যের কাছে যায় চবি শিক্ষক সমিতি। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন। তবে ওই দিন দাবি না মানায় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমতির দাবি, তারা এখনও উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অটল। এ দাবি আদায়ে তাদের কর্মসূচি চলবে।

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ বন্ধ করার কথা বলেছিলাম। এটা শুধু একটা বিষয় নয়। যে বিশাল দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে লঙ্ঘন করার যে ফিরিস্তি, তার সামান্যতম হচ্ছে আইন বিভাগের নিয়োগ।

‘রাতের আঁধারে নিশাচর প্রাণীর মতো পালিয়ে গিয়ে আপনি আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড করেছেন। এটা লজ্জাজনক, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ন্যাক্কারজনক একটা ঘটনা। আপনার নৈতিক সাহস নেই। উপ-উপাচার্যও একই রকম প্রক্রিয়ার অংশ। যতক্ষণ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের বিদায় না হচ্ছে, আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। বন্ধের পর ক্যাম্পাস খোলার আগে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলন

সমসাময়িক ইস্যুতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে চবি উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির একাংশ কিছু শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে আমার অফিস, সিনেট সভাকক্ষ এবং সবচেয়ে দুঃখজনক শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থীদের রুম দখলে নিয়ে জোরপূর্বক নিয়োগ বোর্ডটি বাতিল করার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তাদের কয়েকজন আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেন, এমনকি হুমকি-ধমকির মাধ্যমে আমাকে অসম্মান করে কথা বলতে থাকেন। বেলা আড়াইটা থেকে নির্বাচনি বোর্ড বসার কথা থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা পেশীশক্তি প্রদর্শন করে আমাকে একপ্রকার অবরুদ্ধ করে রাখেন। শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হুমকি দেয় এবং এক পর্যায়ে একজন অত্যন্ত মেধাবী প্রার্থী অপেক্ষা কক্ষ ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আমি আমার আবাসিক অফিসে নির্বাচনি বোর্ড স্থানান্তর করি এবং সেখানে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী চলে। এর ব্যত্যয় হলে সিন্ডিকেট, সিনেট, এফসি, অডিট অফিসের মতো প্রয়োজনীয় সংবিধিবদ্ধ বডি রয়েছে। তাদের উপেক্ষা করে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়া, আবার আমার ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন শুরু করা অনভিপ্রেত।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি আচার্য হিসেবে আমাকে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। আমি এই নির্ধারিত সময়কালে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। নির্ধারিত সময়ের আগে আমার নিয়মিত দায়িত্ব ছেড়ে পদত্যাগ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’

এ বিভাগের আরো খবর