দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি (অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার) এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর নতুন শিক্ষাক্রমের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে মে মাসে। ২৩ মে থেকে মূল্যায়ন শুরু হয়ে চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। ১০ জুলাই ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
২১ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে, চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর মূল্যায়নের ফল প্রকাশ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ সূচি অনুযায়ী ষান্মাসিক ও বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের আয়োজন করতে হবে। মূল্যায়নের কাগজপত্র অন্তত এক বছর স্কুলে সংরক্ষণ করতে হবে। মূল্যায়নের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অনুমতি নিতে হবে। মূল্যায়নের প্রশ্ন শিক্ষকদের নিজেদের প্রণয়ন করতে হবে। কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নে মূল্যায়ন করা যাবে না।
সূত্র আরও জানায়, ২০২৪ সালে প্রাথমিক স্কুলেও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান হবে। এ তিন শ্রেণিতেও কোনো পরীক্ষা থাকবে না। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৫ সাল থেকে সেটাও বাতিল হবে।
আগামী দুই বছর পর প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।