বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুবির বাসে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীরা আহত

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:০৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আহত শিক্ষার্থীদের ও তুলে আনা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তুলে আনা ব্যক্তিটি।

আগের ঘটনার জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে বাসটি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার টমছম ব্রিজ এলাকার এ ঘটনায় হামলাকারীদের একজনকে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসমুখী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী নীল বাস (কুমিল্লা-স ১১০০-৩২) টমছম ব্রিজ এলাকায় এলে হঠাৎ একটি বলাকা বাস সামনে চলে আসে। সে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয় বাসকে আটকায় এবং বাসটি থেকে ২০-২৫ জন বিভিন্ন লাঠিসোটা নিয়ে নামেন।

তারা বাস ছেড়ে শিক্ষার্থীদের নেমে যেতে বলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা না নামলে এক পর্যায়ে গিয়ে তারা বাসে ভাংচুর শুরু করেন। পরে শিক্ষার্থীরা বাস থেকে তাদের থামাতে নামলে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। মারামারির এক পর্যায়ে একজনকে বাসে তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা।

হামলার আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ মাসুম, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ, অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের মাহমুদ সাকিব, আবদুল বাসেদ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আদনান হোসেন সাহেদ, মো. রিফাতুল ইসলাম, আতিক রহমান, রিয়াজন হক সজীব, মো. রাসেল চৌধুরী। এ ছাড়া বাসের হেলপার জহিরুল ইসলাম ও বাস ড্রাইভার সুমন দাস হামলায় আহত হয়েছেন।

বাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, আমরা নীল বাসে টমছম ব্রিজ দিয়ে যাচ্ছিলাম। বাস টমছম ব্রিজের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে আসার পর হঠাৎ একটি বলাকা বাস দেখতে পেলাম। বাসটি সম্পূর্ণ খালি ছিল। আমি ভাবছিলাম হয়তো ব্রেক করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই বাসটি আমাদের বাসকে আটকায়।

তিনি বলেন, মুহূর্তের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী বাঁশ, রড, স্টিলের পাইপ, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাস ঘেরাও করে আমাদের বাস থেকে নামার জন্য বলে। যখন দেখলো আমরা নামছি না, তখন তারা বাস ভাঙা শুরু করল। বাঁশ এবং রড নিয়ে জানালা দিয়ে আমাদেরকে আক্রমণ করার সময় তারা বাসের হেলপার এবং ড্রাইভারকে নামতে বলে।

বাসে থাকা আরেক শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৩তম আবর্তনের নাসরিন আক্তার বলেন, আমাদের বাস ড্রাইভারের সাথে ওখানকার স্থানীয় অটো চালকদের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল আগেরদিন। সেই ঘটনার ঝেরে তারা আমাদের শিক্ষার্থী বাসে হামলা করে।

আগের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বাসের হেলপার মো. জহির আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের টমছম ব্রিজ থেকে বাস ইউটার্ন নেয়ার জন্য আমি বাস থেকে নেমে সামনের অটোগুলোকে একটু সরতে বলি। তখন তারা কয়েকজন আমাকে ও ড্রাইভারকে বাজে ভাষায় কথা বলে এবং আমার গায়ে হাত তোলে। তখনই বাসে থাকা কিছু শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে আমাকে উদ্ধার করেন। তখনও তারা আমাদেরকে গালি ও হুমকি দিচ্ছিল।

এ বিষয়ে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস এম আরিফুর রহমান বলেন, যে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং যেই ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীরা তুলে নিয়ে এসেছে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মামলা করে তাহলে আমরা তদন্ত শুরু করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আহত শিক্ষার্থীদের ও তুলে আনা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তুলে আনা ব্যক্তিটি।

এ বিভাগের আরো খবর