র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পর্যায়ের শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তদের শাস্তির বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে ১৫ নভেম্বর শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে সাইফ নেওয়াজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। যেগুলি হলো বিনা কারণে নিম্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করা, গভির রাত পর্যন্ত মাঠে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা, নিম্ন ব্যাচকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি, নিম্ন ব্যাচের নেতৃত্বদানকারীদের নানা কারণে জবাবদিহিতা ও র্যাগিং সংস্কৃতির পক্ষে বক্তব্য দেয়া।
প্রায় একই অপরাধে মো. সুমন রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা, সানজিদা আফরিন ময়ুরীকে ১৫ হাজার টাকা, মো. নূর আলমকে ১৫ হাজার টাকা এবং মো. বনি আমিনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমান ও সেই সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া লিমন নামের এক শিক্ষার্থীর বুকে লাথি মারা ও ইট ছুড়ে মাথায় আঘাতের অপরাধে মুহম্মদ জারিফকে ৩য় বর্ষের দুই টার্মের জন্য বহিস্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর মুহম্মদ জারিফকে অপরাধের সাথী হিসেবে শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ তামিমকে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকসহ হাতে নাতে ধরা পড়ায় মো. কবিরুল ইসলাম বিন্দু, সন্দীপ পাল ও মোজতাবাকে ৪র্থ বর্ষের দুই টার্মের জন্য বহিস্কার ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ পরিপন্থি কোনো কাজে লিপ্ত হবে না মর্মে অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ লিমন বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পর্যলোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের মুচলেকা ও জরিমানার টাকা প্রদান করতে হবে। তবে শাস্তির বিষয়ে তারা নিয়মানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন।’