দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাবির রোকেয়া হলের সামনে বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রোকেয়া হল হয়ে টিএসসির দিকে আসছিলাম। বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুই থেকে তিনটা ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
‘বিস্ফোরণের পর তিনজনকে বাইকে পালিয়ে যেতে দেখে আমরা তাদের হাতেনাতে ধরি। একজন বখতিয়ার চৌধুরী শাহিন, আরেকজন নুর মোহাম্মদ সিকদার। অন্যজনের নাম রুবেল।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পলাশ বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পরে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে ধরে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা বলারও সুযোগ হয়নি, তবে আমার মনে হয় না তারা (যাদের সোপর্দ করা হয়েছে) এ ঘটনায় জড়িত। এখন পুলিশ তদন্ত করে বাকি সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দেখার চেষ্টা করছি কারা আসলে এই ঘটনায় জড়িত। তাদের তো মূলত ধরা হয়েছে সন্দেহভাজন হিসেবে। আমরা চাই না নিরপরাধ কেউ শাস্তি পাক।’
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক তুলসী বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘আমি ডিউটিতে এসেছি আজকে সকাল আটটায়। গতকাল রাতে কী হয়েছে জানি না, তবে বর্তমানে থানায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক কেউই নেই। আর সকাল থেকে যাদের কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কেউ ছিল না। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।’
এই বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গতকাল রাতে দুইজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে তারা থানায় সোপর্দ করেছে, তবে তারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল না। তাই আমরা রাতেই তাদের ছেড়ে দিয়েছি।’