প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দুই হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।
সকাল ১০টার দিকে সরকারপ্রধান এসব স্থাপনা উদ্বোধন করবেন বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র বার্তা সংস্থা বাসসকে জানায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্মিত সরকারি স্থাপনার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ তলা প্রধান কার্যালয়, কক্সবাজারে ১০ তলা বিশিষ্ট লিডারশিপ ট্র্রেনিং সেন্টার এবং চারটি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) নবনির্মিত মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম।
প্রায় এক হাজার ৯২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণকাজ করা হয়েছে। স্কুলগুলোতে ছয় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী নতুন ও আকর্ষণীয় শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের সুবিধা পাবে। এ ছাড়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন নবনির্মিত স্কুলগুলোর সুবিধা পাবেন। নবনির্মিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জেন্ডারের ভিত্তিতে আলাদা ওয়াশ ব্লক নির্মাণ হয়েছে; রয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
প্রায় ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এতে মাঠপর্যায়ে চার লক্ষাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। বেজমেন্ট ও ক্যাম্পাসে ৪৪টি গাড়ি রাখার সুবিধা রয়েছে।
প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের ১০ তলা লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টারে প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। নবনির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চাহিদাভিত্তিক, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি ভবনে ১৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর (৮০ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারী) আবাসনের সুব্যবস্থাসহ প্রশিক্ষণের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও যশোরে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি পিটিআইয়ে মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৫০ আসন বিশিষ্ট প্রতিটি অডিটোরিয়ামে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণসহ শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রত্যেক পিটিআইয়ে প্রতি বছর দুই শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। এ ছাড়াও সেখানে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়।