জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ক্লাসরুম সংকট নিরসনে অবিলম্বে ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে ইন্সটিটিউটটির শিক্ষার্থীরা।
এ দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি নতুন প্রশাসনিক ভবন এলাকা থেকে ঘুরে পুনরায় সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আইবিএ ভবনের কাজ বন্ধ করা চলবে না, অবিলম্বে আইবিএ ভবন নির্মাণ কর-করতে হবে, ভবন চাই ভবন চাই-আইবিএ ভবন চাই’ প্রভৃতি স্লোগান বলতে শোনা যায়।
ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা সকল প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে আইবিএ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার জোড় দাবি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পূর্বেই সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের ভবন চাই।’
এর আগে, চলতি বছরের ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানার পেছনে ‘সুন্দরবন’ নামক স্থানে আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বুধবার সে স্থানে গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলগুলো। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে শিক্ষার্থীরা আইবিএ ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে ফেলে। ফলে আইবিএ ভবন নির্মাণের কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্র ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার দিনভর প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখলে উপাচার্য এ নির্মাণ কাজের কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
তবে ইন্সটিটিউট সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের Head of Procurement Entity (HOPE) হচ্ছেন উপাচার্য। HOPE থেকেই আইবিএ ভবনের নির্মাণ কাজের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং উপাচার্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। তার অনুমোদন অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ শুরু করেছে। HOPE অনুমোদন দেবার পর বিষয়টি আর আইবিএর কর্তৃত্বে নেই। এখন যদি উপাচার্য বলেন তিনি কিছু জানেন না সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইন্সটিটিউটের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি দাবি করে আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষকদের কক্ষের সংকট আছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে এটা জানিয়ে আসছি৷ প্রশাসন আমাদের এই জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর গাছ কাটার বিষয়টা ঠিকাদার কোম্পানির ওপর নির্ভর করে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস জানে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই কাজ শুরু করা হয় বলে জানি।’