বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস আটকে জাবি ছাত্রলীগের ‘ক্ষতিপূরণ আদায়’

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:১৮

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেল্ফি পরিবহনের মালিকদের একজন বলেন, ‘অন্তত ২০টি বাস আটকে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছোটখাটো ঝামেলার জন্য এতগুলো বাস আটকে রাখলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। পরে লিটন ভাই (ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) আমাদের মালিকপক্ষের দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমাধান করেন।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বাসে না উঠিয়ে ধাক্কা দেয়ায় অভিযোগে ২০টি বাস আটক করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিক থেকে সেলফি পরিবহনের আরিচাগামী লেনে যেতে থাকা বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন তারা।

পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে বাসগুলো ছেড়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনসহ কয়েকজন নেতা।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল সাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।

তিনি বলেন, ‘রাতে গাবতলী থেকে সেলফি পরিবহনের বাসে উঠতে চাই, তখন জাহাঙ্গীরনগর যাব বললে আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। তখন আমি আঘাত পাই এবং আমার ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেলফি পরিবহনের মালিকদের একজন বলেন, ‘অন্তত ২০টি বাস আটকে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছোটখাটো ঝামেলার জন্য এতগুলো বাস আটকে রাখলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। পরে লিটন ভাই (ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) আমাদের মালিকপক্ষের দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমাধান করেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘বাস আটকানোর ঘটনা শুনেছি। সম্যসার সমাধান হয়েছে। টাকা পয়সার ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার সমাধান চাই। প্রশাসন যেন বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কোনো শিক্ষার্থী যেন বাস সংশ্লিষ্ট কারো থেকে কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার আর না হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম. ফিরোজ-উল-হাসান-হাসান বলেন, ‘বাস আটকানোর কথা শুনেছি। তখন নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে। তবে বাস মালিক বা শিক্ষার্থীরা কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর