বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তথ্য গোপন করে আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়েছেন জবি ছাত্রলীগ নেত্রী

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:৪১

জানতে চাইলে একইসঙ্গে দুই পদে থাকার কথা স্বীকার করেন জিনিয়া আফ্রিন। বলেন, ‘সিনিয়রদের আমি একসঙ্গে দুই কমিটিতে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। তাই দুই কমিটিতেই আমি দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও তা গোপন করে ‘সাবেক ছাত্রনেতা’ পরিচয়ে আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী জিনিয়া আফ্রিন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটিকে না জানিয়ে, তথ্য গোপন করে ক্ষমতাসীন দলটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির ‘সদস্য’ পদ পেয়েছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, যার কার্যক্রম এখনও চলমান। সেই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিনিয়া আফ্রিন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পদে থেকেও সেই তথ্য গোপন করে অতিসম্প্রতি ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের ৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি ঘোষিত হয়। ওই কমিটির নথিপত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক জিনিয়া আফ্রিনের নাম দেখা যায়।

শাখা ছাত্রলীগের পদে থাকলেও বিজ্ঞপ্তিতে তার নামের পাশে লেখা রয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা।

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ও শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়ে নিলেও তিনি শাখা ছাত্রলীগের পদ থেকে এখনও অব্যাহতি নেননি। তার কাছ থেকে পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার কোনো চিঠি পাননি শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাও। এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলও তার ইস্তফার ব্যাপারে জানেন না।

জানতে চাইলে একইসঙ্গে দুই পদে থাকার কথা স্বীকার করেন জিনিয়া আফ্রিন। বলেন, ‘আমি জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি নেইনি। আমি সাবেক নই।

‘সিনিয়রদের আমি একসঙ্গে দুই কমিটিতে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। তাই দুই কমিটিতেই আমি দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তাহলে ‘সাবেক ছাত্রনেতা’ কেন লেখা হলো?- জবাবে তিনি বলেন, “পদপ্রাপ্ত হয়েও যারা দায়িত্ব পেয়েছে (আওয়ামী লীগের কমিটিতে), সবাই ওখানে ‘সাবেক ছাত্রনেতা’ লিখেছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছুই জানি না।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটিতে জিনিয়া আফরীনের নাম। ছবি: নিউজবাংলা

এ ব্যাপারে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতারা পদ পেয়েছেন। এটি সাবেকদের সংগঠন। জিনিয়ার উচিৎ ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি নেয়া৷ অথচ এখন পর্যন্ত আমরা তার কাছ থেকে কোনো চিঠি পাইনি।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘আমাদের কাছে পদ থেকে ইস্তফা চেয়ে তার কোনো চিঠি আসেনি। মৌখিকভাবেও বলা হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তিনি ইস্তফা দিয়ে থাকতে পারেন, তবে সে বিষয়ে আমার জানা নেই। আমরা কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করব। তারা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ‘ছাত্রলীগের পদে থাকাকালে তিনি আওয়ামী লীগে পদ পেতে পারেন। তবে পরবর্তীতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়।’

‘সাবেক ছাত্রনেতা’ ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাবেক বা বর্তমান খুব বেশি পার্থক্য নয়। তিনি সেখানে আগের কোনো পদবী ব্যবহার করেছেন হয়ত।’

জবি ছাত্রলীগ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই। আসলে আমি সেভাবে তাকে চিনিও না।’

এ বিষয়ে কথা বলতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঙ্গে মোবাইল নম্বরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।’

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসাইনকে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর