দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ছাত্রকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে ২৩ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
হাবিপ্রবির আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়টি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কার হওয়া দুই ছাত্র হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের ছাত্র রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সতর্কবার্তা পাওয়া ছাত্ররা হলেন কৃষি অনুষদের একই ব্যাচের দুই ছাত্র এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২২ ব্যাচের ২১ ছাত্র।
হাবিপ্রবির একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন অনুপম ছাত্রাবাসে র্যাগিং হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল টিম। ঘটনাস্থলে কৃষি অনুষদের ২৩ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিংয়ের তথ্য-প্রমাণ পান তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি র্যাগিং প্রতিরোধ মূল কমিটির সভায় উত্থাপিত হলে ২২ ব্যাচের ওই দুই ছাত্র র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় শাস্তির সুপারিশ করে কমিটি। সেই সঙ্গে আরও দুই ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করে প্রশাসন।
অপর আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের পঞ্চম তলায় ৫৪৩ নম্বর রুমে ২৩ ব্যাচের সংঘঠিত র্যাগিংয়ের ঘটনার বিশদভাবে পর্যালোচনা পূর্বক অভিযোগ সর্বসম্মতিক্রমে প্রমাণিত হওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করায় ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২২ ব্যাচের ২১ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবির প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, ‘র্যাগিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই অপসংস্কৃতির সঙ্গে যারা যুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’