সজ্জন ও সচ্চরিত্রবানদের দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
রোববার বিকালে নিউজবাংলাকে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুরে চবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা কমিটি দেব। ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকে যারা সজ্জন, সচ্চরিত্রবান তাদেরকে আমরা শীর্ষ নেতৃত্বে আনবো।‘
স্মার্ট ছাত্রলীগ ধারণার সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না জানতে চাইলে ইনান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্মার্ট হচ্ছে, ছাত্রলীগ স্মার্ট হচ্ছে। সুতরাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকেও স্মার্ট হতে হবে। এটার ব্যতয় ঘটানোর সুযোগ নেই।‘
বৃহস্পতিবার দুই কর্মীর কথা কাটাকাটির জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ছয় কর্মী আহত হয়। এ ঘটনার পরই থমথমে অবস্থা বিরাজ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
পরদিন শুক্রবার দুপুরেও দুই গ্রুপের কর্মীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকে। সন্ধায় ফের বাধে সংঘর্ষ।
একই সময়ে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইটে সংঘর্ষে জড়ায় বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের আরেকাংশ (সভাপতি গ্রুপ)। এদিন আরও ৪ কর্মী আহত হয়।
ঘটনার জের না কাটতেই শনিবার দিনভর ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে৷ রাতে বিজয় গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনায় সংঘর্ষের শঙ্কা থাকলেও পুলিশ ও প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
একই সময়ে শাহ জালাল হলে সিক্সটি নাইন ও শাহ আমানত হলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে মুহুর্মুহু শ্লোগান, স্লেজিং ও বাজি ফুটাতে থাকে।
শেষে প্রশাসন ও পুলিশ দুই হলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সংবাদ প্রকাশের জেরে রোববার ক্যাম্পাসে কর্মরত এক সাংবাদিকের ওপরও হামলার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘সাংবাদিককে মারধর এটা অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ। আমরা খতিয়ে দেখে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।‘