বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেডিক্যালের প্রশ্নফাঁস: আইডিয়ালের শিক্ষিকা ও ৬ চিকিৎসক গ্রেপ্তার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৮

প্রশ্নফাঁস চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এর আগে ১১ চিকিৎসকসহ ১৭জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী থেকে এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ও অন্য ৬ জন চিকিৎসক। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন সেট, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাকসুদা আক্তার মালা, ডা. কে এম বশিরুল হক, ডা. অনিমেষ কুমার কুণ্ডু, জাকিয়া ফারইভা ইভানা, সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী, জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা।

মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, সবশেষ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাকসুদা আক্তার মালা ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ আরও ৭ শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিক‍্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।

অন্যদের মধ্যে ডা. কে এম বশিরুল হক থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।

এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক আসামির সিআরপিসি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ডা. বশিরুল হকের নাম রয়েছে। প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের গোপন ডায়েরিতিও তার নাম কাছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ডা. অনিমেষ কুমার কুণ্ডু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল অফিসার। ২০১৫ সালে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে পড়িয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে ৮ জনই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

আর জাকিয়া ফারইভা ইভানা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ২০০৬-০৭ সেশনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৬০তম স্থান অর্জন করেন। প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধানের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে তিনি ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

এছাড়া সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে চান্স পান তিনি।

গ্রেপ্তার হওয়া জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা ২০১৫-১৬ সেশনের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। তারাও অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।

সূত্র জানায়, সিআইডির সাইবার টিম এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ১৭জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে ১০ জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যান্য সদস্য ও ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়াও এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সদস্যদের তথ্য পাওয়া যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ১০ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর