বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগ সভাপতিকে দিতে আসা ফুল ছুড়ে ফেলে নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ফুল দিতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নেতা-কর্মীরা।

সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগের সভাপতি দুর্জয় পালের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা ফুল কেড়ে নিয়ে তা ছুড়ে ফেলা হয়। একই সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্ন্যাকস (ডাস) চত্বরের পাশে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে ৷

ছবি দেখে এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্জয় পাল। তার ভাষ্য, হেনস্তাকারীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নিরব ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান নিবির।

দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বেশ কয়েক দিন ধরে ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার মনোমালিন্য চলার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে শনিবার ওই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের ভাষ্য

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দুর্জয় পাল বলেন, ‘‘গত ৩১ জুলাই আমাদের কমিটি হয়েছিল। এরপর থেকে আমরা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সাদ্দাম ভাইকে ফুল দিতে পারিনি। আজকে (শনিবার) সন্ধ্যায় আমরা ফুল দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাই। এরপর আমাদের সামনে থাকা মেয়েদের একদল শিক্ষার্থী এসে আমরা কোন ইউনিট জিজ্ঞেস করে। পরে মেয়েরা ইউনিটের নাম বললে তাদেরকে বলা হয়, ‘আপনারা এখান থেকে চলে যান।’ এরপর মেয়েরা আমাদের সাথে কথা বলতে বললে তারা আমার সাথে কথা বলতে আসেন।

‘‘তাদেরকে আমি বলি, সাদ্দাম ভাইয়ের সঙ্গে একটু শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসছি। তখন তারা আমাকে বলে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো শুভেচ্ছা বিনিময় হবে না। এটা করতে চাইলে পার্টি অফিসে যান, না হয় সাদ্দাম ভাইয়ের বাসায় যান।’ এই কথা বলার সাথে সাথে তাদের সাথে থাকা অন্যরা আমাদের হাতে থাকা ফুল দিয়ে বানানো নৌকা এবং দুইটা ফুলের তোড়া কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলে।’’

তিনি আরও বলেন, “এরপর তারা উচ্চস্বরে বলছে, ‘এখানে কোনো ফুল দেয়া হবে না। আপনারা তাড়াতাড়ি চলে যান।’ পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা পেছন দিকে হাঁটা শুরু করি। এরপর তারা আমাদের বাইকে করে ফলো করছিল। আর পেছন থেকে বারবার বলছিল, ‘দ্রুত যান, দ্রুত আগান।’”

দুর্জয় পাল বলেন, ‘‘পরে আমরা শহীদ মিনারের সামনে এলে সাদ্দাম ভাইয়ের গাড়ি দেখতে পাই এবং ভাইয়ের সাথে নতুন একটা ফুল এনে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। পরে ভাইকে ঘটনাটির জানালে তিনি ‘দেখবেন’ বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এরপর আমরা চলে আসি।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নিবির বলেন, ‘আমি অসুস্থ। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে আসার সময় দেখি টিএসসিতে কারা যেন ঝামেলা করছিল। সেটা দেখতেই মূলত আমি গিয়েছিলাম। তখনই হয়তো তারা আমাকে দেখেছে এবং মনে করেছে আমি ঘটনায় জড়িত।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ক্যাম্পাসে আমি ছাত্র রাজনীতি করি, সেহেতু ক্যাম্পাসের সব বিষয়ে আমার তো খোঁজখবর রাখতে হয়। সেটা দেখতে গিয়ে দেখি, একদল শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছে, আরেক দল পেছন থেকে বাইকে হর্ন দিচ্ছে। পরে টিএসসি এসে দেখি, কিছু ফুলের তোড়া ছড়ানো ছিটানো। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। যদি কেউ আমার নাম বলে তাহলে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’

আরেক অভিযুক্ত শাহরিয়ার নিরব বলেন, ‘আমি দুই দিন ধরে আমার বাসায়। আমি ক্যাম্পাসেও যাইনি আজকে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। উনাকে আবার ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন।’

নিরবের এক বন্ধু জানান, শনিবার তারা একসঙ্গে টিএসসিতে ছিলেন। পরে কবি জসিমউদ্দীন হলে অনুষ্ঠিত এক প্রোগ্রামেও তাকে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর