বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতিদাতারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত: ঢাবি উপাচার্য

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:৫৩

ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত। অনেক সময় তারা নানা প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। এই ১৬০ জন মানুষ যারা বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত মানুষ।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতিদাতারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সোমবার দুপুরে মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে ১৬০ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন দাবি করে এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত। অনেক সময় তারা নানা প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। এই ১৬০ জন মানুষ যারা বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত মানুষ।

‘আমার ধারণা তারা লবিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তাদের হয়তো বা কোনো গোষ্ঠী, কোনো রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায় কিংবা কোনো ব্যক্তি নিয়োগ করেছেন অর্থের বিনিময়ে। সে কারণেই হয়তো তারা আজকে কোনো দুর্নীতি এবং অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এটি কিন্তু তারা নিজের দেশে করতে পারতেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ যারা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত, তারা যখন কোনো অন্যায় এবং দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেয়, তখন মানবতা লজ্জিত হয়।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘এমনও কিছু মানুষ আছে যাদের সঙ্গে নিজেদের দেশ, দেশের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং দেশের গৌরবময় অর্জনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। বাংলাদেশেও এমন কিছু মানুষ আছে, যে নামগুলো এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে, তাদের কখনও আপনারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আমাদের মহান অর্জনসমূহ যেগুলো অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ, এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে বা চেতনার প্রোগ্রামে তাদের আপনারা দেখবেন না।

‘কারণ এই মানুষগুলো একটি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে স্বার্থ হাসিলের জন্য নিয়োজিত থাকেন। আর এ স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষার জন্য তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদেরও হায়ার করে থাকেন।’

এই বিবৃতিকে বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি বা হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন না উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘এই বিবৃতিকে আমাদের বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি বা হস্তক্ষেপ বলে ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ বাংলাদেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনি সমস্ত অন্যায় হস্তক্ষেপকে দূর করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

‘সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, এ ধরনের অপশক্তি যারা আমাদের আইনের শাসনকে ব্যাহত করার নানা অপপ্রয়াস গ্রহণ করেছেন, তাদের ষড়যন্ত্র যেন নস্যাৎ করে দেয়া হয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘সরকার তো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। তাহলে ১৬০ জন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি কেন না জেনে, না বুঝে বিবৃতি দিলেন, সেটা আমাদের একটা বড় প্রশ্ন। ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কিস্তি বাকি করায় দরিদ্র মানুষদের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছেন ড. ইউনূস।

‘এসব মানুষ ছিল দরিদ্র মানুষ, যারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, কিন্তু ১৯৯৮ সালের বন্যায় তাদের সবকিছু ভেসে গিয়েছে। সে সময় অনেকে দরিদ্র মানুষ কিন্তু আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন।’

মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করে সে সময় ড. ইউনূস বিবৃতি দিয়েছেন। আইনের চোখে সবাই সমান। তাহলে এখন তিনি কি আইনের চোখে সমান না? এই বিষয়ে আমরা জানতে চাই।’

ঢাবির এ অধ্যাপক আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি কোনো কিছুর সাথে তিনি সম্পৃক্ত হন না। তিনি কখনও শহীদ মিনারে যান না, তিনি কখনও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না; তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেন না, তিনি স্মৃতিসৌধে যান না।

‘তার টার্গেট হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। এই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর