রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট বাস স্ট্যান্ডে পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ওই কর্মকর্তার নাম আবদুল মালেক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার। আব্দুল মালেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরের অনুসারী বলে জানা যায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় শনিবার দুপুরে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে সাভার পরিবহনের বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
সাভার পরিবহনের সুপারভাইজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘উনি (আব্দুল মালেক) আমাদের পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে আছেন। আগেরদিন রাস্তায় তার গাড়িতে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেয় পুলিশ। উনার গাড়িকে কেন মামলা দেয়া হয়েছে, ওই জেদটা কাউন্টারে এসে দেখিয়েছেন। কাউন্টারের এসেই তিনি চেয়ার ভাঙ্গা শুরু করেন।’
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কাউন্টারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ ও মামলার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সুপারভাইজার মনির বলেন, ‘বাসের এমডি, পরিচালক এবং অভিযুক্তকে বসার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নেয়া হবে।’
আব্দুল মালেকের বাবার নামে দুইটি বাস (সাভার পরিবহন) রয়েছে এই স্ট্যান্ডে। আর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির পাশাপাশি এই বাস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করে আব্দুল মালেক বলেন, ‘ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। আমাদের গাড়ির মামলা দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা (ফুটপাতে বসা কাউন্টারের লোকজন) জোর করে বাসের ড্রাইভারের কাছ থেকে টাকা রেখে দিছে। যেহেতু মামলা দেয়া হয়েছে, তখন তো আর টাকা রাখতে পারে না৷ পরে আমি এটাই জানতে গিয়েছিলাম সেখানে। তবে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা হয়নি সেখানে৷’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অপরাগত প্রকাশ করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার বলার অধিকার নেই, বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজকের ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি অসুস্থ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।