বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমনওয়েলথ বৃত্তি পাওয়া ২৪ বাংলাদেশিকে অভিনন্দন সারাহ কুকের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৪১

হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “কমনওয়েলথের প্রতি যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে প্রতিবছর প্রায় ৮ শ শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দেয়া হয়। আমি এই বছর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রাপ্ত ২৪ জন বাংলাদেশি স্কলারকে অভিনন্দন জানাই এবং তাদের অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।”

২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে কমনওয়েলথ বৃত্তি পাওয়া ২৪ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।

সোমবার ব্রিটিশ হাই-কমিশনারের বাসভবনে ওই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রি-ডিপারচার সেশন আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এই আয়োজনেই তাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক, ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ সহ যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ২৪ জন্য এই বৃত্তি পেয়েছেন।

কমনওয়েলথ বৃত্তির প্রতিটি স্কিম কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এবং প্রার্থীদের অসামান্য অ্যাকাডেমিক রেকর্ড এবং আবেদনই এ সব স্কিমে তাদের বৃত্তি লাভে সফলতা এনে দিতে সহায়তা করে।

অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সফলতা উদযাপন করা হয় এবং তারা কমনওয়েলথ স্কলারশিপ অ্যালামনাইদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ও পরামর্শ নেয়ার সুযোগ পান, যেনো যুক্তরাজ্যে তাদের মানিয়ে নেয়া সহজ হয়। অনুষ্ঠানটিতে কমনওয়েলথ বৃত্তি কর্মসূচির ইতিবাচক প্রভাব সম্পরকে জানানো হয়।

হাইকমিশনার সারাহ কুক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “কমনওয়েলথের প্রতি যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে প্রতিবছর প্রায় ৮ শ শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দেয়া হয়। আমি এই বছর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রাপ্ত ২৪ জন বাংলাদেশি স্কলারকে অভিনন্দন জানাই এবং তাদের অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।”

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ টম মিসিওসিয়া বলেন, “এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮০০ জন শিক্ষার্থী এ বৃত্তি থেকে উপকৃত হয়েছেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে তাদের জ্ঞানের বিকাশকে প্রসারিত করেছে। বৈশ্বিক মঞ্চে ইতিবাচক প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে বৃত্তিপ্রাপ্তদের আমার শুভকামনা।”

এ বছর বাংলাদেশ থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তরা জেন্ডার অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, রিস্ক, ডিজাস্টার অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, মেডিকেল ইমেজিং, এনভায়রনমেন্টাল ল, ইকোনোমিকস ফর ডেভেলপমেন্ট, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, মাইগ্রেশন, মোবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিটি, এনগেজমেন্ট, এবং বিলংগিং, ফার্মেসি, পাবলিক পলিসি, পাবলিশিং স্টাডিস, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, বায়োলজি, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাপ্লায়েড ইনফেকশাস ডিজিজ এপিডেমিলোজি, এডুকেশন: ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড এডুকেশন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড ফাইন্যান্স– এসব বিষয়ে অধ্যয়ন করবেন।

অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলার এবং নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ পান, যা যুক্তরাজ্যে তাদের অ্যাকাডেমিক এবং ব্যক্তিগত সাফল্যে অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোসের (বিএসিএসএএফ) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে তারা কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অফ এডুকেশন বাংলাদেশ তৌফিক হাসানের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর