খাবারের মান বৃদ্ধি, হলে পর্যাপ্ত সুপীয় পানির সংকট নিরসনসহ ১২ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী হলে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তালা দেন তারা। পরে প্রক্টোরিয়াল বডি ও প্রভোস্টের আশ্বাসে ১টার দিকে তালা খোলা হয়।
শিক্ষার্থীদের ১২ দফাগুলো হলো হলের কক্ষগুলোতে খাট, টেবিল, চেয়ার ও আলমারির সংকট নিরসন, দীর্ঘদিন ধরে চলা হলের রাস্তার সংস্কার কর্মকাণ্ডের দ্রুত সমাপ্তি, ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বৃদ্ধি করা, হলে পর্যাপ্ত সুপীয় পানির সংকট নিরসন, হলে নিরবিচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগের ব্যবস্থা করা, হলের ওয়াশরুমের সমস্যার দ্রুত সমাধান, সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠের সংস্কার এবং দ্রুত খেলাধুলার সরঞ্জাম বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য হলের সামনের রাস্তায় স্পিড ব্রেকার স্থাপন, রিডিং রুমে পর্যাপ্ত বই, চেয়ার, টেবিল ও নিরবচ্ছিন্ন আলো ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা, টিভির রুমের বেঞ্চ ও গেস্ট রুমের সোফার সংকট নিরসন, হলের পানির হাউজ ব্যবহারের উপযোগী করা ও নতুন এক্সটেনশন নির্মাণ করা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুনতাসীর সিয়াম বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি দাবি যৌক্তিক। হলের সামনের মোড়টা তিন রাস্তার মোড় কিন্তু এখানে কোনো স্পিড ব্রেকার নাই। এতে করে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি থাকে সবসময়। হল কর্তৃপক্ষ বারবার আমাদের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। এ ছাড়া খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। ওয়াশরুম অপরিষ্কার এখানে যাওয়া যায় না। তাই আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা এখন সময়ের দাবি।’
আরেক শিক্ষার্থী আফ্রেদি রহমান মিঠু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের সমস্যার কথা বলে আসছি। ডাইনিং, ক্যাফেটেরিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ ওখানে খাওয়াই যায় না। এ ছাড়া আমাদের রিডিং রুম, কমন রুম কোথাও আসবাবপত্র নেই। একটু বৃষ্টিতেই হলের সামনে পানি জমে থাকে। এজন্য প্রশাসনকে আমাদের দাবিগুলো পূরণের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’
চবির সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি দ্রুত তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।’