গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অংকন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ অ্যান্ড টপেল ফাইভ ইরেজার’ টাইটেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে তিনি এ রেকর্ড করেন।
অংকন নাট্যকলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতিমূলক ইমেইল পাঠানো হয়েছে তার কাছে।
রেকর্ডের এ বিষয়টি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি অংকনের কার্যক্রমটিকে রেকর্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২ দশমিক ৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে জাহিদুল ইসলাম অংকন নতুন রেকর্ডটি গড়েন। চলতি বছরের ১৭ মে তিনি এ রেকর্ডের জন্য অনলাইনে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আবেদন করেন। ২৩ আগস্ট ইমেইলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অংকনকে রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানায়।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অংকন লিখেন, ‘আমার পুরো শরীর থরথর কাঁপছে। পারছি না শুধু হাউমাউ করে কান্না করতে।
‘আপাতত আপনাদের দোয়া চাই। এখন শুধু সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা।’
আনন্দ প্রকাশ করে অংকন বলেন, ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতো সম্মানীয় একটি জায়গায় নিজের নাম লেখাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এ রেকর্ডটি আগে মালেশিয়ান এক নাগরিকের ছিল। তার থেকেও কম সময়ে রেকর্ড গড়ে সেটি বাংলাদেশে ছিনিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
‘করোনাকালীন অলস সময়ে চিন্তা করেছিলাম নতুন কিছু করার। তখন থেকেই বারবার চেষ্টা করি রেকর্ড করার জন্য। অনেকবার চেষ্টার পরে আমি সফল হয়েছি। আমার বাবা-মাকে এই গৌরবময় অর্জন উৎসর্গ করতে চাই।’
গিনেস বুকে নাম ওঠানো অংকন লেখালেখিতেও যুক্ত। এ পর্যন্ত তার চারটি উপন্যাস প্রকাশ হয়েছে।
প্রথম উপন্যাস ‘শূন্য ঠিকানা’ প্রকাশ হয় ২০২০ অমর একুশে বইমেলায়। এরপর ‘খোঁপার বাঁধন’, ‘দখিনা চিঠি’ ও ‘হাওয়া’ নামের উপন্যাস ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের বইমেলায় প্রকাশ হয়। তার প্রকাশিতব্য আরেকটি উপন্যাসের কাজ চলছে।