তাৎক্ষণিকভাবে দাবি মানার আশ্বাস না পেলেও রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে ঘরে ফিরে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের বড় একটি অংশ ছাত্রী হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এদিনের মতো অবরোধ তুলে নেয়া হয় বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়ন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেয়ার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তারা দফায় দফায় কথা বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে যাবেন না বলে জানান তারা।
কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘লাঠিচার্জ এমনকি গুলি করা হলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমরা কেউই এই অবস্থান ছেড়ে যাবো না।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে আজিমপুর-সায়েন্স ল্যাবরেটরি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ কিছু গাড়ি বিকল্প হিসেবে পলাশী হয়ে নিউমার্কেট থানার সামনে দিয়ে চলাচল করে৷
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ওসমান গনি বলেন, ‘আমাদের তিন মাসের রেজাল্ট নয় মাসে দেয়া হয়। এর ফলে পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সময় পাই না।
‘সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে, সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়ন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে আমাদেকে। সেই দাবিতেই আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। তিনি এ পর্যন্ত ১৯ বার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। তাছাড়া আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছি। তারাও আমাদেরকে কেবল আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। সমাধান মেলেনি।’
চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ‘আমরাও দেশের সচেতন নাগরিক। আমারও চাই না জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হোক। দাবি না মেনে না নেয়ায় বাধ্য হয়েই আমরা রাজপথে নেমেছি।’