বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৌশলে ছাত্রীকে আলিম পরীক্ষায় বসতে না দেয়ার অভিযোগ অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে

  • প্রতিনিধি, লালমনিরহাট   
  • ২০ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৪৩

অভিযোগের বিষয়ে কাশীরাম মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আমাকে বলেছিলেন ২৬ তারিখ ফরম ফিলাপের শেষ তারিখ। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় আমি ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে দেখি ২৫ তারিখ ডেট শেষ, সে কারণে তার ফরম ফিলাপটি মিসটেক হয়েছে।‘

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জমি বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার কারণে টাকা নিয়েও কৌশলে ফরম ফিলাপ না করে এক আলিম পরীক্ষাথীকে চলমান আলিম পরীক্ষায় বসতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত হলেন কালীগঞ্জের কাশীরাম আলীম মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু। ভুক্তভোগী একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাশেদা বেগম।

রোববার পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় রাশেদার মা আমিনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগপত্রে রাশেদার মা বলেন, ‘গত ১৭ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসায় আলীম পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে যায় আমার মেয়ে রাশেদা বেগম। কিন্তু রাশেদাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায় যে তার ফর্ম ফিলাপ হয় নাই বিধায় তার প্রবেশপত্রও আসেনি। তখন মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে ফরম ফিলাপের দিন সার্ভার ছিল না। সে কারনে তোমার ফরম ফিলাপ করা হয়নি। এই কথা শোনা মাত্র সে কান্নাকাটি করে বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়।

‘এরপর আমি নিজে ঘটনা জানতে মাদ্রাসা যাই কিন্তু মাদ্রাসা গিয়ে একই কথা শুনতে পাই। বিষয়টি নিয়ে আমি যখন বলি যে, মাদ্রাসার বাকি সব ছাত্রছাত্রীর সময় সার্ভার ছিল আর আমার মেয়ের সময় সার্ভার ছিল না? তখন মাদ্রাসার অফিস সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মঞ্জু আমাকে উগ্র মেজাজে গালিগালাজ করে।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তখন আমার কাছে পরিষ্কার হয় যে, আমাদের সঙ্গে রফিকুলের পারিবারিক শত্রুতা ও প্রতিহিংসা থাকায় আমার মেয়ের ফরম ফিলাপ করেনি সে। দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর সাথে আমাদের মামলা চলছে। তারই জেরে রফিকুল আমার মেয়ের জীবনের উন্নতি যেন না হয় সেজন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার মেয়ের জীবন থেকে একটি বছর এবং ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাৎ করার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুকে রাশেদার ফরম ফিলআপ বাবদ গত ১৭ তারিখে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা জমা দেয়ার পরও আমার মেয়ে আলীম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারল না কেন আমি তার বিচার চাই।

‘আমার মেয়ে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অশান্তিতে ভুগছে আমার মেয়ে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সহকারী শিক্ষক এবং ওই অফিস সহকারীর পদত্যাগ এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

এ অভিযোগের বিষয়ে কাশীরাম মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আমাকে বলেছিল ২৬ তারিখ ফরম ফিলাপের শেষ তারিখ। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় আমি ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে দেখি ২৫ তারিখ ডেট শেষ, সে কারণে তার ফরম ফিলাপটি মিসটেক হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান (রতন) বলেন, ‘ফর্ম ফিলাপের টাকা দিয়েছে আমি জানি, তবে কী কারণে তার ফরম ফিলাপ হলো না সেটি আমার জানা নেই। এ জন্য অফিস সহকারী মঞ্জুকে নোটিশ করেছি, তার জবাব দিতে না পারলে আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তবে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর