বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শোক আলোচনা শেষে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, কর্মী আহত ছুরিকাঘাতে

  • প্রতিনিধি, ইবি   
  • ২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:২১

এ বিষয়ে আহত মুক্তারিক সাবিক বলেন, ‘অনুষ্ঠানে সিঁড়িতে নামার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী এসে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আকিব নামে একজন আমাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার বন্ধু ও সিনিয়ররা আমাকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।’
শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ৫ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ২ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। রোববার জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার অনুষ্ঠান শেষে বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন সংলগ্ন আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ কয়েক দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, অনুষ্ঠান শেষে আমবাগানে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী একত্র হয়। অনুষ্ঠানের সময়ে সিট দখল ও সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কির ঘটনার জেরে জিয়া হল ছাত্রলীগ ও শেখ রাসেল হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের ‘আকিব’ শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ‘মুক্তারিক সাবিককে’ ছুরিকাঘাত করলে আহত হন তিনি। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এ বিষয়ে আহত মুক্তারিক সাবিক বলেন, ‘অনুষ্ঠানে সিঁড়িতে নামার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আকিব নামে একজন আমাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার বন্ধু ও সিনিয়ররা আমাকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।’ তবে ছুড়িকাঘাতের ঘটনা অস্বীকার করেছে ম্যানেজম্যান্টের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আকিব। তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি কখনোই ছুড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে পারিনা। উলটো আমার ওপর অতর্কিতভাবে কিছু শিক্ষার্থী হামলা করে। আমি কোনো রকমে ওখান থেকে বেঁচে রুমে এসে আশ্রয় নেই।’ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আকিব বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী। জিয়া হলে এনামুল রায়হান ভাইয়ের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি।’ এ বিষয়ে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি অফিসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতিহাতির ঘটনা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। শোকের মাসে এমন একটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ছাত্রলীগের কোনো কর্মী যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকে তবে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। পূর্বসূত্রতার জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিব।’

এ বিভাগের আরো খবর