বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি: কক্ষ আছে, কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন

  • প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০৮

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। খুব দ্রুতই আমরা সংগঠনগুলোর কাছে গঠনতন্ত্র জানতে চাইব। তাদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করব। যাদের কার্যক্রম নেই, সে সংগঠনগুলোর বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’ 

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর নানা জটিলতায় স্থবির হয়ে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বা জবিভিত্তিক সংগঠনগুলো। তেমন একটি সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি।

বছরব্যাপী সংগঠনটির দৃশ্যমান কার্যক্রম তো দূরের কথা, বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবসেও তৎপরতা চোখে পড়েনি তাদের।

গত বছরের ১১ এপ্রিল নিয়াজ মাহমুদ সজিবকে সভাপতি ও সাদিয়া ইসলাম ইফতিকে সাধারণ সম্পাদক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফটগ্রাফিক সোসাইটির ১৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটি অনুমোদনের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি, তবে ছোট ক্যাম্পাসে জায়গা সংকটের মধ্যেও অবকাশ ভবনে এ সংগঠনের নামে কক্ষ বরাদ্দ আছে।

অনেক ক্রিয়াশীল সংগঠন যেখানে নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়েও সংকটের কারণে অফিসের জন্য জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে না, সেখানে ফটোগ্রাফিক সোসাইটির নামে কক্ষ বরাদ্দ নিয়েও তা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠেছে।

জবির প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কলেজ থেকেই ফটোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শুনেছি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আছে। সদস্য হওয়ার জন্য একাধিকবার আমি অফিসে গিয়েছিলাম, কিন্তু গিয়ে আমি অফিস বন্ধ পেয়েছি।’

লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্রী আসমা উল হোসনা বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু থেকেই ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফিক সোসাইটির অফিসে গিয়ে আমি কখনোই কাউকে পাইনি।

‘কোনো বিষয়েই তাদের কোনো রেসপন্স নেই। এমন হলে একটা সংগঠন কীভাবে চলে আর আমরাই বা কী শিখতে পারব?’

জবির দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাফা আক্তার নোলক বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ছবি তোলার প্রতি একটা নেশা কাজ করে। আমি চেয়েছিলাম ফটো ওয়ার্কে, এক্সিবিশনে তোলা ছবি বিভিন্ন পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে প্রকাশ করতে, কিন্তু ফটোগ্রাফিক সোসাইটিতে যুক্ত হওয়ার হাজারো চেষ্টা করেও পারিনি।’

ফটোগ্রাফিক সোসাইটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দাবি, সংগঠনের কাজ ঠিকভাবেই চলছে। বাহ্যিক কোনো কার্যক্রম চোখে না পড়লেও অনলাইনে আড্ডা দেয়ার মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত বাজেট ঘাটতির কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে।

সার্বিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে আরও বেশি পরিমাণে বাজেট দেয়ার দাবি জানান তারা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সংগঠনভিত্তিক পর্যাপ্ত বাজেট দেয়া আছে। এখন আর নতুন করে বাজেট বাড়ানো সম্ভব হবে না।

বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবসেও কোনো কার্যক্রম না থাকার কারণ জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া ইসরাম ইফতি বলেন, ‘১৯ আগস্ট আমাদের কোনো প্রোগ্রাম ছিল না, কারণ অনেকেরই পরীক্ষা চলছে।’

এই সংগঠনের পূর্বের কোনো কার্যক্রম চোখে না পড়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি নিয়াজ মাহমুদ সজিব বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম ঠিকভাবেই চলছে। আমরা নতুন সদস্য সংগ্রহে রিক্রুটমেন্ট করেছি। সামনে একটা আন্তবিভাগ ফটোসেশান প্রোগ্রাম করব।’

সর্বশেষ কী কার্যক্রম হয়েছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ফটোসেশন করেছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনে আমরা পার্টনার হিসেবে কাজ করে থাকি৷’

এ বিষয়ে ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওদেরকে (প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি) বারবার কল দিয়ে বলতাম কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করার জন্য ও কার্যক্রম বৃদ্ধি করে মেম্বার বাড়ানোর জন্য। কেউ যদি শুধু পোস্ট পদবির জন্য সংগঠন করে, তাহলে তো আর কিছু বলার নেই। আমি প্রতিনিয়তই ওদের সঙ্গে কন্টাক্ট করছি কার্যক্রমের গতিবিধি বাড়ানোর জন্য।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। খুব দ্রুতই আমরা সংগঠনগুলোর কাছে গঠনতন্ত্র জানতে চাইব। তাদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করব। যাদের কার্যক্রম নেই, সে সংগঠনগুলোর বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কক্ষ বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর