বৃহস্পতিবার দেশের আট বোর্ডে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কুমিল্লা বোর্ডের অধীন ছয় জেলার পরীক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষা শেষে চোখ কপালে ওঠার মতো একটি পরিসংখ্যান লক্ষ্য করা গিয়েছে। এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেও প্রথম দিন অনুপস্থিত অর্ধলাখ পরীক্ষার্থী।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ৬১ হাজরের বেশি পরীক্ষার্থী নিবন্ধন করে। তবে পরীক্ষার প্রথম দিন এ শিক্ষাবোর্ডে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ৪৬ হাজার ৭৭৬ জন ও মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৩ হাজার ৮০৩ জন।
ফলে প্রথম দিনই অনুপস্থিত ছিল অর্ধলক্ষাধিক পরীক্ষার্থী। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এত শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।
এবারের পরীক্ষায় ১৯২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৪৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মানবিক শাখায় ৫১ হাজার ৪১৬ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে অংশ নিয়েছে ৩৩ হাজার ৭০৭ জন এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৫ হাজার ৪৫৬ জন পরীক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরীক্ষার প্রথম দিন কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় এত শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার কারণ জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির পর পরীক্ষাভীতি এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়নসহ নানা কারণে ৫০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করার পরও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নকল প্রতিরোধসহ পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। নকল রোধে গত এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা ও দাউদকান্দি উপজেলার ঘটনার অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এইচএসসির কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতাসহ সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’