বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্ধত্ব জয় করে পরীক্ষার হলে অরিত্র

  • প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ   
  • ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৩৫

অরিত্রের পিতা ফিরোজ আলম মৃধা বলেন, ‘আমার ছেলে জন্ম থেকেই চোখে একটু কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিল। ভারত থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পরে ডান চোখেও সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ড থেকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।’

অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তার আরও একটি উদাহরণ এলো সামনে। অন্ধত্বকে জয় করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন গোপালগঞ্জের ইশতিয়াক আলম অরিত্র। শ্রুতি লেখকের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।

অরিত্র গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফিরোজ আলম মৃধার ছেলে। সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এ অংশ নিচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন এসজে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে মুখে উত্তর বলে দিচ্ছেন অরিত্র। তার হয়ে খাতায় লিখছে দশম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস।

অরিত্রের পিতা ফিরোজ আলম মৃধা বলেন, ‘আমার ছেলে জন্ম থেকেই চোখে একটু কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিল। ভারত থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পরে ডান চোখেও সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ড থেকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

‘এত সমস্যা থাকার পরও তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই সে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। সে চোখে দেখতে পায় না, তাই একজন শ্রুতি লেখক নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।’

সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক ড. কবির আহম্মেদ জানান, অরিত্র মেধাবী ছাত্র। কলেজেও সে নিয়মিত ছাত্র ছিল। কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কার পেয়েছে সে।

তিনি বলেন, ‘অন্ধত্বকে জয় করে শ্রুতি লেখক দিয়ে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। আশা করি, সে ভালো ফলাফল করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর