জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ এর নাম সংশোধন করে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় ‘বঙ্গমাতা’ যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনীর ওপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগের সিন্ডিকেট সভায় নাম সংশোধনের ব্যাপারে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও আমাকে নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। আমরা পরবর্তী সিন্ডিকেট সভাতেই এটি সংশোধনের সুপারিশ করব। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামের পাশে বঙ্গমাতা পদবি বসানো অতীব জরুরি।’
এসময় অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা আর বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানও অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের জন্য জেল খেটেছেন, আন্দোলন সংগ্রামে সময় দিয়েছেন।
‘বঙ্গমাতা তাকে সাহস জুগিয়েছেন, নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন। নিজের চুলায় রান্না না হলেও নেতা-কর্মীদের বাসায় রান্না হয়েছে কি না সেসব খোঁজখবর রাখতেন। সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বঙ্গমাতার মতো মহিয়সী নারীর জীবনী, আদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কীভাবে সারাটা জীবন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা নিয়ে গবেষণা করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে সবাই তার দেশপ্রেম, দেশের স্বাধীনতায় অবদান সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম জানতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে অনেক বেশি জানতে হবে। এটি নিয়ে গবেষণা করতে হবে। যাতে নতুন প্রজন্মের কাছে এমন মহিয়সী নারীদের সারাজীবনের ত্যাগ, লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসগুলো পৌঁছায়। বঙ্গমাতার আদর্শকে নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারে।’
এর আগে হল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর হলের বঙ্গমাতা কর্নারে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।