সোমবার সফলভাবে শেষ হলো ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ ভিডিও প্রতিযোগিতা।
এ বছর ১৭ বছরে পদার্পন করা প্রতিযোগিতাটির (ইওর ওয়ার্ল্ড ২০২২-২৩) প্রতিপাদ্য ছিল ‘গুড হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিইং’, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তিন নম্বর লক্ষ্যের সাথে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা অর্জনে ভূমিকা রাখা।
দুর্দান্ত এক ভিডিও জমা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের তিনটি স্কুল শীর্ষ সম্মান লাভ করেছে। ভিডিওতে সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।
বিজয়ী ভিডিওতে “সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ” প্রতিপাদ্যে ভিয়েতনাম থেকে কাউ গিয়াউই মাধ্যমিক স্কুল এ বছরের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্থান লাভ করেছে।
‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃষ্টিশীলতার দিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সমস্যা সমাধান সংশ্লিষ্ট দক্ষতা ও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায়।একইসাথে, তারা তাদের নিজেদের জীবন, কমিউনিটি ও অভিজ্ঞতা নতুনভাবে আবিষ্কার করে।
প্রতিযোগিতাটি ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুল নেটওয়ার্কের স্কুলগুলোর ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এ বছর প্রতিযোগিতায় জমা পড়ে ৭৫০টিরও বেশি ভিডিও এবং প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ কাউন্সিল নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড-১২-এর ছাত্র ও বিজয়ী দলের সদস্য উত্সব সরকার বলেন, ‘এ ভিডিও নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমরা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা যেমন-সহযোগিতা, দলগত কাজের দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল স্বাক্ষরতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া, আমরা কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি অধ্যবসায় ও সহিষ্ণুতা অর্জন নিয়ে শিখতে পেরেছি।”
এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিসিওসিয়া বলেন, ‘এ লেভেল, ও লেভেল ও আইজিসিই’র প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলগুলো কেবল বিশ্বমানের শিক্ষাই নিশ্চিত করে না পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম (এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ) ও ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ ভিডিও প্রতিযোগিতার মতো যৌথ ক্লাসরুম প্রকল্পের মাধ্যমে তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সমাধান খুঁজে পেতে বৈশ্বিকভাবে বাকিদের সাথে সংযুক্ত হওয়া ও দায়িত্বশীল বিশ্ব-নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ প্রদান করে।’