বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এসএসসি: ব্যবহারিকের নম্বর বাদ পড়ায় বিদ্যালয়ের এক বিভাগের সবাই ফেল

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ২৯ জুলাই, ২০২৩ ১৯:০৪

কেন্দ্রের সচিবকে দায়ী করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও শিক্ষার্থীদের নম্বর যথাসময়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাঠাননি পরীক্ষার কেন্দ্রের সচিব। তাই এমন বিপর্যয়।’

ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসির ২৩ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনায় কেন্দ্রের সচিবকে দায়ী করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য, ‘ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও শিক্ষার্থীদের নম্বর যথাসময়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাঠাননি পরীক্ষার কেন্দ্রের সচিব। তাই এমন বিপর্যয়।’

বিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৮ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ২৩ জন। শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

বিদ্যালয়টির পরীক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল একই উপজেলার কাহালু তাইরুনেচ্ছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পরীক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ব্যবহারিকের নম্বর পরীক্ষার ফলের সঙ্গে যোগই করা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন তারা।

শাহাদত জামাল নামের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব বিষয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছি, তবুও সবকিছু শেষ। কার কী দোষ আমি জানি না। ভালো পরীক্ষা দিয়েও কেন নম্বর আসেনি- এটা তদন্ত করে সমাধান করা হোক।’

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘ব্যবহারিকের নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের হাত দিয়েই দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের মার্কশিটে তা যোগ না হওয়ায় সবাই ফেল করেছে। কেন এমনটা হলো, তার কোনো উত্তর মিলছে না। এজন্য বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা দায়ী। তারা মনিটরিং করলে এমনটি হতো না।’

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এফ এম এ ছালাম বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর বোর্ডে পাঠাননি। এজন্য আমার ২৩ ছাত্র সমস্যায় পড়েছে। এ নিয়ে বোর্ডে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’

নম্বর যোগ না হওয়ার কারণ জানতে পরীক্ষা কেন্দ্র কাহালু তাইরুনেচ্ছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রের সচিব বেলাল উদ্দিনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী বলেন, ‘সমস্যাটি নিয়ে কেন্দ্র সচিব শিক্ষা বোর্ডকে এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিবকে দোষারোপ করেছেন। এ নিয়ে ইতোমধ্যে বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে।’

রোববার দুই প্রধান শিক্ষক রাজশাহী গিয়ে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর