এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শতকরা পাসের হারে এ বছর বিভাগ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল। সারা দেশে পাসের হার যেখানে শতকরা কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ, এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম দক্ষিণের এই বিভাগ। গত বছরের চেয়ে কম নয়, বরং বেড়েছে পাসের হার।
এবার বরিশাল বিভাগে শতকরা পাস করেছে ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, গত বছর যা ছিল ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। বরিশাল শুধু বছরের ব্যবধানে নিজেকে ছাড়িয়ে যায়নি বরং ছাড়িয়েছে অন্য আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডকেও।
বরিশালের পর পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। এ বছর রাজশাহীতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা যশোরে শতকরা পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
পাসের হারে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ময়মনসিংহে পাস করেছে ৮৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে শতকরা পাসের হার এ বছর ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, ফলে এ শিক্ষা বোর্ডটি রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
পাশের শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম ফলাফলেও পাশাপাশি রয়েছে কুমিল্লার। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শতকরা পাসের হার এবছর ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই পাসের হারে শিক্ষা বোর্ডটি তালিকার ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে।
পাসের হারে সপ্তম স্থানে থাকা রাজধানী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ ছাড়া অষ্টম অবস্থানে থাকা দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা সিলেটে এ বছর পাশের হার শতকরা ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
অন্যদিকে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা এবারও এগিয়ে রয়েছে ফলাফলে। পুরো দেশের হিসেবে এবার ছাত্রীরা পাস করেছে ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিপরীতে ছাত্রদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
শুধু পাসের হারে নয়, জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। সারাদেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ৯৮ হাজার ৬১৪ জন। বিপরীতে ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ প্রাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন।
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।