ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। রোববার তিনি ওই অব্যাহতিপত্র জমা দেন।
ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও অ্যাকাডেমিক কারণে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছি। এটি যথাযথ মাধ্যমে দপ্তর সেলের কাছে পাঠিয়েছি।’
এই বিষয়ে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ‘ইমতিয়াজ তার এ চিঠি আমার ম্যাসেঞ্জারে দিয়েছেন। অফিসিয়ালি আমরা এখনও হাতে পাইনি। আমি তাকে এটার প্রিন্টেড কপি দপ্তর সেলে এসে জমা দিতে বলেছি। আমরা এখন এটি নিয়ে কাজ করছি।’
অব্যাহতি কার্যকর হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা বুয়েট, তাই এখানে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। তাকে কেউ জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে কি না, এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করব। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব তার এ অব্যাহতি কার্যকর হবে কি হবে না।’
আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই সময় জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব/ সোসাইটি ব্যতিত কোনো রাজনৈতিক দলের বা এর সহযোগী সংগঠনের অথবা অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য হতে বা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
সম্প্রতি বুয়েটের দুই ছাত্রকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেয়ায় বুয়েটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
শনিবার বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছাত্রলীগের পদ পাওয়া ইমতিয়াজ হোসেন ও হাসিন আজফার পান্থকে শাস্তির আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
ইমতিয়াজ হোসেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১ ব্যাচের এবং হাসিন আজফার পান্থ তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র। আজফার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন।