বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ দাবি মানার আশ্বাসে হাবিপ্রবির উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরলেন শিক্ষার্থীরা   

  • প্রতিনিধি, দিনাজপুর    
  • ১৬ জুলাই, ২০২৩ ১১:৫৪

হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি থেকে যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।’

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, প্রতিটি ফ্লোরে পানির সরাসরি লাইন, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নত করা, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করাসহ ১০ দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা নানান স্লোগান দিতে থাকেন। পরে শনিবার রাত ১টায় প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসেন।

শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে, প্রতিটি ব্লকে হিটার দিতে হবে, প্রতিটি ফ্লোরে পানির সরাসরি লাইন দিতে হবে, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত লাইট ও থ্রি-প্লাগ সুইচ দিতে হবে, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নত করতে হবে, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করতে হবে, হিটার চেক করার নামে হেনস্তা করা যাবে না, গেস্ট এলাও এবং অভিভাবকদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে, লিফট ও রিডিংরুম দিতে হবে, বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে ভর্ৎসনাসূচক ভাষায় কথা বলা যাবে না। এ ছাড়াও নবনির্মিত ছাত্রী হলের একটি স্থায়ী নামকরণের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত থেকে হলে বিদ্যুৎ নেই। সকালে কিছু সময়ের জন্য এলেও আবার চলে যায়। পরে বিদ্যুৎ আসে। কিন্তু শনিবার রাত থেকে আবার বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের খাওয়াদাওয়া, পড়াশোনাসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কনস্ট্রাকশনের সময় নিম্নমানের তার ব্যবহার করায় বিদ্যুতের লাইনের উপর চাপ পড়লে তা লোড নিতে পারছে না। ফলে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। হলের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর কাজ ঠিকভাবে বুঝে না নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে হলে ছাত্রী ওঠানোয় কিছু বিষয়ে অসংগতি থেকে গেছে।

এ ব্যাপারে হাবিপ্রবির নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে বসব। এরপর আমরা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত হব।’

হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি থেকে যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর