বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়াকে নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
আবেদনের যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়তির অভিযোগ তুলে পরিকল্পনা কমিটি।
একই সঙ্গে পালি বিভাগে বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদ।
শুক্রবার ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য।
ওই সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘অভি বড়ুয়া নামে যে প্রার্থীকে নিয়ে অনেক বেশি বিতর্ক হয়েছে, সেই নিয়োগটি (প্রথম বোর্ড) বাতিল করা হয়েছে। এর বাইরে পালি বিভাগের দ্বিতীয় বোর্ডে একটি পদের বিপরীতে তিনজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। আমরা অতিরিক্ত দুইজনেরটা বাতিল করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে চিন্তা করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা অতিরিক্ত এই নিয়োগটা বাদ দিয়েছি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে এক সহকারী প্রক্টরের স্ত্রীকে নিয়োগ সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভি বড়ুয়া নামের সেই নিয়োগ প্রার্থী পালি বিভাগের দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে আলাদা আলাদাভাবে আবেদন করেন।
প্রতিবারই তিনি আবেদনপত্রে স্নাতকোত্তরের ফলাফলে ‘প্রথম শ্রেণিতে প্রথম’ বলে উল্লেখ করেন, কিন্তু যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, প্রার্থী অভি বড়ুয়া ভুল তথ্য দিয়েছেন। তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম নন, বরং ১৩তম হয়েছেন। আবেদনকারী ওই প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী।
অভির দ্বিতীয় আবেদনটি পরিকল্পনা কমিটি বাতিল করলেও প্রথম আবেদনে ‘তথ্য জালিয়াতির’ বিষয়টি পরিকল্পনা কমিটির চোখ এড়িয়ে যায়। তা সত্ত্বেও নিয়োগের জন্য অভি বড়ুয়াকে সুপারিশ করায় বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা মহলে।
আইন বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে দুই সদস্যের ‘নোট অফ ডিসেন্ট’
পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে দুইজন নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করা হয়। এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ দিয়েছেন দুই সিন্ডিকেট সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া, সেটি মানা হয়নি। এখানে উপাচার্য নির্বাহী আদেশে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
‘এটি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ অ্যাক্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে উল্লেখ করে দুইজন শিক্ষক নোট অফ ডিসেন্ট (দ্বিমত প্রকাশ) দিয়েছেন।’