ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চার বিভাগের ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘ক্লাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে (সহপাঠীকে মারধর) বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গুলশান আহমেদকে ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় হলে ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি বাংলা বিভাগের একই বর্ষের সালমা আক্তার বিথী নামের আরেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় (লুজ পেপারে আগে লিখে নিয়ে এসে পরীক্ষায় জমা দেয়া) অবলম্বনের জন্য ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের (স্নাতকোত্তর) ৫ জন, ২০২০-২১ সেশনের (প্রথম বর্ষ) ১ জন, জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের একজন, রসায়ন বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য একটা করে কোর্স বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সেমিস্টারে তারা এ কোর্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
শাবিপ্রবি থেকে প্রথমবার উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো ২০ জন শিক্ষার্থীকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে ৬ জন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি, ৯ জন শিক্ষার্থীকে এমফিল এবং ৫ জন শিক্ষার্থীকে এমএসএসি ইঞ্জনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হবে।’
পরীক্ষার ফল প্রকাশ ত্বরান্বিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ত্বরান্বিত করতে শিক্ষকদের জন্য নতুন এক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষকদের যথাসময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে জমা দিতে বলা হয়েছে।’
তবে জমা দিতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ২০ টাকা করে ‘বিলম্ব ফি’ ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে তাদের নাম শোকজের সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।