জার্মানিতে এক মিলন মেলায় অংশ নিয়েছেন সে দেশে বসবাসরত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রায় দেড় শ শিক্ষার্থী।
গত ৩-৪ জুন তৃতীয় বারের মতো এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এতে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ১৫০ সাস্টিয়ান এবং তাদের পরিবার পরিজন অংশ নেন।
দক্ষিণ জার্মানির স্টুটগার্ট শহরের এ মিলনমেলায় ক্ষণিকের জন্য হলেও শাবির উচ্ছল দিনগুলোতে ফিরে যান অংশগ্রহণকারীরা।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ৩ জুন মধ্যাহ্নে সাস্টিয়ান-জার্মানির প্রেসিডেন্ট হাফিজ খানের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের পুনর্মিলনী। সূচনা বক্তব্যে তিনি সাস্টিয়ানদের একতাবদ্ধ থাকার ওপর গুরুতবারোপ করেন। তার বক্তব্য ও মধ্যাহ্ন ভোজের পর বক্তব্য দেন তৃতীয় মিলন মেলার আহ্বায়ক ড. নিধু লাল বণিক (পরমাণু বিজ্ঞানী, জার্মান ফেডারেল নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট প্রতিষ্ঠান এ কর্মরত)।
নিধু লাল বণিকের বক্তব্যে আবারও মিলন মেলা আয়োজনের আকুতি ফুটে ওঠে। এরপর পরই শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক সাস্টিয়ানদের ছেলেমেয়েরা অংশ নেন। এর পাশাপাশি চলতে থাকে ছোটদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আর বড়দের গেম শো।
বিকেলের চা বিরতির পর শুরু হয় প্রথম ধাপের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান, নাচের মাধ্যমে বাঙালি ইতিহাস ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলেন সাস্টের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এই অনুষ্ঠানের শেষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সাস্টিয়ান জার্মানির নতুন কমিটি ঘোষিত হয়।
এতে মামুনুর রশীদ এবং রাজর্ষি রায় রাজু যথাক্রমে প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নব নির্বাচিত কমিটি সদস্যদের অভ্যর্থনা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে এই পর্বের অনুষ্ঠান শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
রাতের খাবারের পর দ্বিতীয় দফার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়। আবেগাপ্লুত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীগণ বন্ধু-বান্ধব-স্বজন নিয়ে ফিরে যান শিক্ষাজীবনের স্মরণীয় দিনগুলোতে।
এর পরদিন ৪ জুন দুপুরের খাবারের পর পরবর্তী বছর মিউনিখ শহরে আবার মিলিত হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে এই বছরের মত অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।