স্নাতক পাস না করেও স্নাতকোত্তরে ভর্তি এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাস করে সনদ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ওই ছাত্রের স্নাতকোত্তরের সনদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৬তম একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় এটি পাস হয়।
তবে অভিযুক্ত শামীরুল ইসলামকে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য সূত্রে জানা যায়, সভায় সব শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে মানবিক দিক বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থায় শামীরুল ইসলামের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ পরীক্ষায় পাস করলে আবার স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারবেন তিনি। পরীক্ষার দিনক্ষণ পরে বিভাগ থেকে জানিয়ে দেয়া হবে।
শামীরুল ইসলাম ২০১৭ সালে স্নাতক শেষবর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন।
পরে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিএ কোর্সে ভর্তির সুযোগ পান এবং ২০১৮ সালে তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু মূল সনদ তুলতে এসে বিপাকে পড়েন শামীরুল। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তিনি জানতে পারেন স্নাতক শেষ বর্ষের ফলাফলে ৪১৫ নম্বর কোর্সে তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, সিন্ডিকেটে ওই ছাত্রের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে ওই পত্রে উপাচার্য এখনও সই করেননি।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়।
শামীরুল ইসলাম বলেন, ‘মূল সনদ তুলতে গিয়ে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি জানতে পারি স্নাতকের একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলাম। এর আগে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। এমনকি বিভাগ থেকেও কিছু জানায়নি।’
শামীরুল দাবি করেন, ‘এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সাময়িক সনদপত্র উত্তোলন করি। সেখানে আমাকে কৃতকার্যই দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে ডেকেছিল। আমি সব প্রমাণ সেখানে উপস্থাপন করি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্নাতকের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই স্নাতকোত্তরে পাঠদান শুরু হয়ে যায়। ফলাফল পরে প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব ফলাফল পেয়ে খারাপ করা বিষয়গুলোতে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া।
তবে অভিযুক্ত ছাত্র তার অকৃতকার্য বিষয় এড়িয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিলেন।