বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিচারিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১ জুন, ২০২৩ ১৪:৩৬

সমিতির নেতারা বলছেন, ড. মুহম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। কিন্তু তাই বলে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং-এর সাথে জড়িত না হলে নিশ্চয়ই আইনি প্রক্রিয়ায় সেটি প্রমাণিত হবে। এটিই সভ্য সমাজের রীতি।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা অবশ্যই বিচারিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সমিতির নেতারা বলছেন, ড. মুহম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। কিন্তু তাই বলে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং-এর সাথে জড়িত না হলে নিশ্চয়ই আইনি প্রক্রিয়ায় সেটি প্রমাণিত হবে। এটিই সভ্য সমাজের রীতি।

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করাকে আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ দাবি করে এর বিরুদ্ধে যারা বিবৃতি দিয়েছে তাদের এই কাজকে অশুভ তৎপরতা মন্তব্য করে এ ঘটনার নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বুধবার রাতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

সম্প্রতি গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাত ও মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ড. মুহম্মদ ইউনুসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।

শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, তথাকথিত কিছু কিছু সংগঠন বিবৃতির মাধ্যমে ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় যে প্রতিবাদ করেছে তা আইনের শাসনের পরিপন্থা ও দুরভিসন্ধিমূলক। কেননা, তারা যে রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী সেই রাজনেতিক দর্শনটি হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আইনের শাসন আর গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত অর্জনকে পদদলিত করে এদেশকে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। এদের নেতার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত।

শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, এই ষড়যন্ত্রের শিকড় যে আরো গভীরে প্রোথিত তা স্পষ্ট হয়েছে বিবৃতিদাতাদের প্রদত্ত তথ্যে। ১৯৭৮ সালে একজন অবৈধ সামরিক স্বৈরশাসকের প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারই প্রমাণ করে ড. মুহম্মদ ইউনুসের সাথে তাদের সম্পর্ক অনেক পুরানো। মূলত বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার-প্রচারণা ও বিরাজনীতিকরণের ধারা প্রতিষ্ঠার অনুঘটকদের সাথে ড. ইউনুসের রয়েছে দীর্ঘদিনের সখ্যতা।

এতে বলা হয়, এ কারণেই প্রফেসর ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কথা তুলে এনে বস্তুত অর্থে তারা ঘোলাজলে মাছ শিকারের অপতৎপরতার বিষয়টিই স্বীকার করে নিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএনপি-জামায়াততের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের কারণে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি এবং ধোঁয়াশাচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে অকার্যকর করে ভূঁইফোড় রাজনৈতিক দল গঠন করে এসব ব্যক্তিদের ক্ষমতার মসনদে বসানোর অশুভ তৎপরতা কারা চালিয়েছিল তা জাতি ভুলে যায়নি।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি এসব চক্র আবারও অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলেও দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এ সব চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, নির্দোষ কোনো মুক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একই সাথে ব্যক্তির পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জিরো টলারেন্স নীতিতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।

এ বিভাগের আরো খবর